আমরা উক্রেইনে প্রক্সিযুদ্ধের বিরোধিতা করি, কারণ এটা ৩য় বিশ্বযুদ্ধ লাগানোর সাম্রাজ্যবাদী অভিযানের অংশ।
নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধ ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মাধ্যমে রাশিয়াকে অধীনস্থ করার চেষ্টাগুলো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বৈশ্বিক আধিপত্য বজায় রাখা ও প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যবাদী ইওরোপ ও উদীয়মান চীনের মোকাবেলায় অর্থনৈতিক পতনকে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার বেপরোয়া প্রয়াসের অংশ।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে চলমান পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক সংকট আরো গভীর হয়েছে, যার ফলে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোতে ইন্ধনের যোগান মিলছে।
উক্রেইনে ন্যাটোর বিজয় আমাদের গ্রহকে শান্তির দিকে নিয়ে যাবে না বরং চীনের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধ পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রাশিয়া বা চীনের বিরুদ্ধে ন্যাটো ও তার মিত্রদের যুদ্ধ একটি পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। এর ফলে কোটি কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে এবং এর বিভীষিকা ২০ শতকের সবচেয়ে মারাত্মক অগ্নুৎপাতকেও ছাড়িয়ে যাবে।
মে দিবসে আমরা নিজেরা কেবল সাম্রাজ্যবাদকে প্রতিরোধ করাই নয়, বরং সারা দুনিয়ায় সোশ্যালিস্ট বিপ্লবের দ্বারা পুঁজিবাদকে উৎখাত করার লক্ষ্যে মজদুর শ্রেণীর একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে নুতন করে ওয়াদাবদ্ধ হয়ে থাকি।
এবারের মে দিবসে’র বিবৃতিতে দস্তখত করা ও অন্যদের সাথে এটা শেয়ার করে নেওয়ার লক্ষ্য হলো, এই প্রক্রিয়ার অংশ আসল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মার্কসবাদী শক্তিগুলোর মধ্যে মজবুত যোগাযোগ পুনর্নির্মাণ করতে শুরু করা।
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং সব রকম পুঁজিবাদী শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে পরিণত করতে হবে! যুদ্ধ তখনই শেষ হবে যখন আর কোন জাতিরাষ্ট্র বা শ্রেণী থাকবে না!
দুনিয়ার মজদুর এক হও!